সুষ্ঠু নির্বাচন দাবিতে প্রেসক্লাবের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

প্রথম প্রকাশঃ মে ৫, ২০১৭ সময়ঃ ৪:৫৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

জাবি প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রেস ক্লাবের একাংশের সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন ছাড়াই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি জানিয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছে প্রেস ক্লাবের সক্রিয় অংশ।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহম্মেদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাবি প্রেসক্লাবের ২০১৫-১৬ সেশনের কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানজিদ বসুনিয়ার স্নাতকোত্তর পরীক্ষা আগামী ১০ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তড়িঘড়ি করে গত ২০ এপ্রিল ভোটার তালিকা সংশোধন না করে (১৫ জন ভূয়া ভোটার নিয়ে) ২১ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।

কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাবি প্রেসক্লাবের নির্বাচনের জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল জাবি প্রেসক্লাবের ৩৩জন সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর নির্বাচনে জালিয়াতির বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। কিন্তু ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ৫ মে পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। কিন্তু সমস্যা সমাধান না করেই বুধবার (৩ মে) নির্বাচনের কোন প্রক্রিয়া সম্পাদন না করেই একপাক্ষিক একটি কমিটি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিকদার মো. জুলকারনাইন এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রভাষক ফেরদৌসী রহমান।

তিনি আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নির্দেশেই এ কমিটি ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনাররা। তাই আমরা বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ১২টার সময় অবৈধ কমিটিকে বাতিল করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।

প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিজু মোল্লা বলেন, যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ প্রকিয়া ও বিধি অনুসারে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। আর বর্তমোনে সাংবাদিকতা করে না এবং সাবেক কোন সদস্য প্রেসক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোন অভিযোগ বা মতামত দিতে পারে না। যে অভিয়োগ করেছে দীর্ঘছয় মাস জাবি প্রেসক্লাবে তার সদস্যপদ নেই। সুতর্ংা এ অভিযোগের প্রশ্নই থাকে না।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান, কার্যকরী সদস্য আবু সায়েম, মো. মুসা, জনকন্ঠের সংবাদিক ও সদস্য দীপঙ্কর দাস, আদ্রিয়ান অরিত্রসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G